বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১ জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা–সহ সমস্ত ধর্মীয় স্থান খোলা যাবে। তবে ধর্মীয় স্থানগুলির ভেতরে ১০ জনের বেশি ঢোকা যাবে না। কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করে বাংলার বিখ্যাত মন্দিরগুলি জানিয়ে দেয়, ১ জুন থেকে মন্দির খোলা হবে না। এমনকী, শ্রীরামপুরে মাহেশের বিখ্যাত রথও এবার বের হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পুরীর পর মাহেশেই রয়েছে ভারতে বৃহত্তম রথ। রথযাত্রার দিন এই রথের যাত্রাকে ঘিরে অগণিত মানুষের সমাগম হয়। এর ফলে ৬২৪ বছরে এই প্রথম মাহেশের রথযাত্রা স্থগিত হয়ে যায়।
এবার একই পথে হাঁটল রাজ্যে ইমামদের সংগঠনও। তাদের বক্তব্য, মসজিদ খোলার পক্ষে এই সময়টা মোটেই নিরাপদ নয়। লকডাউনে যে ভাবে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নমাজ পড়ে এসেছেন, সে ভাবেই এখন নমাজ পড়বেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবাংলা–সহ সারা ভারতে এখন মোটেও করোনা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বরং করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বর্তমানে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মসজিদ না খোলাটাই যুক্তিযুক্ত হবে। লকডাউনের দিনগুলিতে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যে–ভাবে নমাজ পাঠ করেছেন, এখনও সে–ভাবেই তাঁদের নমাজ পড়া উচিত। আমরা সেই পরামর্শই মুসলমানদের দেব।’
তিনি আরও জানান, রাজ্যের সমস্ত মসজিদ কমিটি এবং ইমামদের কাছে আমরা আবেদন করছি, তাঁরা যেন এখনই মসজিদের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে না দেন। আরও একমাস যদি মসজিদের দরজা বন্ধ থাকে, তা হলে সমস্যা নেই। করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই মসজিদের দরজা খোলা হোক।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ জুন থেকে সমস্ত ধর্মস্থান খোলা যাবে বলে যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই লিখিত নির্দেশিকা এখনও বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের হাতে আসেনি বলে তারা জানিয়েছে। তাদের দাবি, তাই এ বিষয়ে সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।